ওয়েবডেস্ক- দিল্লি (Delhi) বিস্ফোরণ কাণ্ডে খবরের শিরোনামে আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয় (Al Falha University) । এবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানকে সমন (summons) পাঠাল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড ও যুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বহুবিধ অসঙ্গতি স্পষ্ট করার জন্য চেয়ারম্যানের বক্তব্য দিল্লি কাণ্ডে তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ফরিদাবাদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই সন্ত্রাসী মডিউল পরিচালনা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানকে তলব করেছে দিল্লি পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়টি মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) স্বীকৃত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল জমা দেওয়ার পর “বড় অনিয়ম” চিহ্নিত করার পর এফআইআরগুলি দায়ের করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকীর (chairman Javed Ahmad Siddiqui) বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকারিতা এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি দূর করতে পারবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন- দিল্লি বিস্ফোরণের আগে হরিয়ানায় ঘাঁটি গেড়েছিল উমর! দেখুন চাঞ্চল্যকর তথ্য
কারণ দিল্লি কাণ্ডে সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে ধৃত চিকিৎসক শাহিন সইদ ও চিকিৎক মুজাম্মিল শাকিলকে আল ফালহাতে চাকরি দিয়েছিলেন এই জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকী।
সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক দুর্নীতি, কারচুপির অভিযোগ সামনে এসেছে। এমনকী জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকী ও তার এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, জাল নথি তৈরি করার অভিযোগ আছে। দিল্লির একটি থানায় সিদ্দিকীর ও আরও কয়েকজনের নামে চিটফান্ড চালানো ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। আল ফালাহ নামে একটি সংস্থায় বিনিয়োগের মাধ্যমে রিটার্নের কথা বলে বিপুল টাকা তুলে উধাও হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা লোপাট করে দেওয়ার অভিযোগ আছে। ২০০১ সালে এবার গ্রেফতার হন সিদ্দিকী, পরে ২০০৪ সালে জামিন হয় তার।
দেখুন আরও খবর-







